জানার আছে অনেক কিছু
এখানে পাবেন, প্রয়োজনীয় সব কিছু,আপনাদের সাথে আছি আমিঃ হাফিজ নাছির উদ্দিন
popup
৪/৯/১৬
জেনে নিন ভয় কে জয় করার মত কিছু কথা+ বাংলাদেশের ইতিহাস+ বিস্তারিত পরুন।।
৩/৯/১৬
জেনে নিন কি ভাবে ফেইসবোকে নীল রংঙের স্টেটাস দিয়ে আপনার বন্দুকে চমকিয়ে দিবেন, দেখতে একটি লিংকের মত লাগবে
নীল ও উল্টা করে প্রদর্শন করুন আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাস
ফেইসবুক এ আপনি কোন স্ট্যাটাস দিলেন এবং তা যদি হয় নীল রঙের তাহলে নিশ্চয় সবাই চমকে যাবে এর জন্য বিশেষ কিছু করতে হবে না শুধু :
১। ফেসবুকে নীল ও লিঙ্কযুক্ত স্ট্যাটাস দিতে হলে নোটপ্যাডে @[1: ]@@[1:[0:1: Your Text Here]] কোডটি কপি করে "Your Text Here" অংশে আপনার স্ট্যাটাসটি এডিট করে পুরো কোডটুকু ফেসবুকের What's on your mind অংশে পেস্ট করুন।
২। ফেসবুক স্ট্যাটাস উল্টা করে দিতে হলে এই লিঙ্ক এঃ http://www.fliptext.org/ গিয়ে প্রথম বক্সে স্ট্যাটাসটি লিখে নিচের বক্স থেকে উল্টা টেক্সটটি কপি করে ফেসবুকের What's on your mind অংশে পেস্ট করুন।
Posted by : হাফিজ মোঃ নাছির উদ্দিন,
ইসলামিক বিষয় জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
ইসলামিক
ফেইসবুক এ আপনি কোন স্ট্যাটাস দিলেন এবং তা যদি হয় নীল রঙের তাহলে নিশ্চয় সবাই চমকে যাবে এর জন্য বিশেষ কিছু করতে হবে না শুধু :
১। ফেসবুকে নীল ও লিঙ্কযুক্ত স্ট্যাটাস দিতে হলে নোটপ্যাডে @[1: ]@@[1:[0:1: Your Text Here]] কোডটি কপি করে "Your Text Here" অংশে আপনার স্ট্যাটাসটি এডিট করে পুরো কোডটুকু ফেসবুকের What's on your mind অংশে পেস্ট করুন।
২। ফেসবুক স্ট্যাটাস উল্টা করে দিতে হলে এই লিঙ্ক এঃ http://www.fliptext.org/ গিয়ে প্রথম বক্সে স্ট্যাটাসটি লিখে নিচের বক্স থেকে উল্টা টেক্সটটি কপি করে ফেসবুকের What's on your mind অংশে পেস্ট করুন।
Posted by : হাফিজ মোঃ নাছির উদ্দিন,
ইসলামিক বিষয় জানতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন
ইসলামিক
জেনে নিন আমাদের প্রিয় নবী কোন ১২ টি খাবার ভালোবাসতেন,আছে কী আপনার খাবাবার তালিকায়,
মহানবী হযরত মুহাম্মাদ (স:)এর প্রিয় ১২টি খাবার – আপনার খাবার তালিকায় আছে কি? দেখে নিন।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) খুবই সাধারণ জীবন যাপন করে গেছেন। উনি যে খাবার খেয়েছেন কিংবা পছন্দ করতেন সেই খাবার গুলো অত্যন্ত সহজলভ্য। প্রায় ১৪শ বছর আগে
মহানবী (সা.) যে খাবারগুলো খুব পছন্দ করতেন সেগুলো আজকের বিজ্ঞান গবেষণায় দেখা গেছে খাবার গুলোর গুণাগুণ ও উপাদান ছিল অত্যন্ত যথাযথ।
নবীজী (সা.) এর প্রিয় খাবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন মিস্টি জাতীয় খাবার। মহানবী (সা.) এর প্রিয় ১২টি খাবার হলো- মিস্টি, বার্লি (জাউ), খেজুর, ডুমুর, আঙ্গুর, মধু, তরমুজ, দুধ, মাশরুম, ডালিম-বেদানা, ভিনেগার এবং খাবার পানি।
Posted byy: হাফিজ নাছির উদ্দিন
আরো মজার সব অজানা জিনিস জানতে ক্লিক করুন
এখানে
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) খুবই সাধারণ জীবন যাপন করে গেছেন। উনি যে খাবার খেয়েছেন কিংবা পছন্দ করতেন সেই খাবার গুলো অত্যন্ত সহজলভ্য। প্রায় ১৪শ বছর আগে
মহানবী (সা.) যে খাবারগুলো খুব পছন্দ করতেন সেগুলো আজকের বিজ্ঞান গবেষণায় দেখা গেছে খাবার গুলোর গুণাগুণ ও উপাদান ছিল অত্যন্ত যথাযথ।
নবীজী (সা.) এর প্রিয় খাবারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করতেন মিস্টি জাতীয় খাবার। মহানবী (সা.) এর প্রিয় ১২টি খাবার হলো- মিস্টি, বার্লি (জাউ), খেজুর, ডুমুর, আঙ্গুর, মধু, তরমুজ, দুধ, মাশরুম, ডালিম-বেদানা, ভিনেগার এবং খাবার পানি।
Posted byy: হাফিজ নাছির উদ্দিন
আরো মজার সব অজানা জিনিস জানতে ক্লিক করুন
এখানে
১/৯/১৬
জেনে নিন মারাত্মক কিছু গোনাহ যেগুলো করলে আপনার মুসলমানিত্ব নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মুসলমান হিসাবে এগুলো জেনে নিন।
ধ্বংসাত্মক কয়েকটি কবিরা গোনাহ!
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, যে কেউ কোনো মুআহিদকে (যাকে মুসলমানরা নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাকে) হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের ঘ্রাণ ৪০ বছরের দূরত্ব হতেও পাওয়া যায়। (বোখারি/মেশকাত : ৩৩০৪)।
গোনাহ দুই প্রকার। ক. কবিরা। খ. সগিরা। আল্লাহ তায়ালা এবং রাসূল (সা.) যেসব গোনাহের ব্যাপারে কোনো শাস্তি আরোপ করেছেন এবং স্পষ্টভাবে তা থেকে বারণ করেছেন তাই হলো কবিরা গোনাহ। তবে কবিরার মধ্যেও রয়েছে বিভিন্ন স্তর। কোনো কোনো কবিরা গোনাহ আল্লাহ তায়ালার সত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত, আবার কোনোটা বান্দার সঙ্গে সম্পর্কিত। নিম্নে গুরুতর কয়েকটি কবিরা গোনাহ নিয়ে আলোচনা করা হলো :
ক. শিরক করা
কবিরা গোনাহের স্তরে এটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং স্পর্শকাতর। মহান আল্লাহ তায়ালার সত্তা, গুণাবলি ও কার্যাবলিতে অন্য কাউকে শরিক করা বা সমকক্ষ জ্ঞান করাই শিরক। যেমন- আল্লাহর কাছে মোনাজাত করার মতো জীবিত বা মৃত কারও নিকট প্রার্থনা করা। কবর বা মাজারে সেজদা করা, কোনো ব্যক্তিসমষ্টি বা সংগঠককে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে বিশ্বাস করা, পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তায়ালাকে ছেড়ে এমন কাউকে ডাকবে না যে তোমার কোনো উপকারও করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না। তারপরও যদি তুমি এরূপ কর তাহলে তুমি জালেমদের মধ্যে গণ্য হবে। (সূরা ইউনুস : ১০৬)।
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, যে আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে শরিক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দিয়েছেন। (সূরা মায়িদা : ৩১২)।
শিরক ঈমানকে ধ্বংস করে দেয় এবং শিরককারী ব্যক্তি কাফের বলে গণ্য হয়। এমনকি শিরকই একমাত্র গোনাহ, যা ছাড়া আল্লাহ সব গোনাহকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, নিশ্চয় আল্লাহ কখনও তার সঙ্গে শরিক করার গোনাহ ক্ষমা করবেন না। এছাড়া আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেবেন।
খ. শিরকের পর মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচেয়ে গর্হিত ও মন্দ কাজ হলো অন্যায়বিহীন মানুষের প্রাণনাশ করা। চাই তা ভ্রুণ হোক কিংবা অন্য কেউ। মানবহত্যা মানবতা বিধ্বংসী ও সুস্থ বিবেকবর্জিত অপরাধ। রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, কোনো মোমিনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার চেয়ে দুনিয়াটা ধ্বংস হয়ে যাওয়া আল্লাহর কাছে অধিকতর সহজ। (তিরমিজি)।
এমনকি একজন মানুষের প্রাণনাশ করা সব মানবজাতির প্রাণনাশের নামান্তর। আল্লাহ তায়ালা বলেন, কেউ যদি কাউকে হত্যা করে এবং তা অন্য কাউকে হত্যা করার কারণে কিংবা পৃথিবীতে অশান্তি বিস্তারের কারণে না হয়, তবে সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। (সূরা মায়িদা : ৩২)।
অন্যায়ভাবে হত্যাকারীর জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তির হুশিয়ারি। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমকে জেনেশুনে হত্যা করবে তার শাস্তি হলো জাহান্নাম। যাতে সে সর্বদা থাকবে এবং আল্লাহ তার প্রতি গজব নাজিল করবেন ও তাকে লানত করবেন। আর আল্লাহ তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। (সূরা নিসা : ৯৩)।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, যে কেউ কোনো মুআহিদকে (যাকে মুসলমানরা নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাকে) হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের ঘ্রাণ ৪০ বছরের দূরত্ব হতেও পাওয়া যায়। (বোখারি/মেশকাত : ৩৩০৪)।
এ হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নিরাপত্তা প্রদত্ত কাফেরের জানমালও মুসলমানের ন্যায় সংরক্ষিত। তাদের ওপর আঘাত হানাও জঘন্যতম অপরাধ।
উপরোক্ত বিধানগুলো হত্যাকারীর পাশাপাশি হত্যায় সহায়তা দানকারীর ক্ষেত্রেও সমান প্রযোজ্য। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সামান্য কথার দ্বারাও কোনো মোমিনের হত্যার ব্যাপারে সহায়তা করল সে আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, তার কপালে লেখা থাকবে ‘আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ।’ (ইবনে মাজাহ/মেশকাত : ৩৩৩১)।
গ. সুদ খাওয়া
সুদ বলা হয় বিনিময়বিহীন অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে। ইসলাম এবং ইসলামী শরীয়ত শোষণ, জুলুম, নির্যাতন ও মনষ্যত্বহীনতার পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত। সম্পদের ব্যবহার ও ভোগের ক্ষেত্রে ইসলাম দিয়েছে ব্যাপক অধিকার। কিন্তু যে ভোগের কারণে সমাজের অন্যজন নির্যাতিত হয় এবং শিকার হয় দুঃখ-কষ্টের সেই ভোগকে ইসলাম হারাম করে দিয়েছে। পবিত্র কোরআনুল কারিমের বর্ণনা, আল্লাহ বিক্রিকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন। (সূরা বাকারা : ২৭৫)।
ব্যবসা-বাণিজ্য যেহেতু মানবিক সাম্য ও অর্থনৈতিক ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যম, তাই ইসলামী শরীয়ত তা গ্রহণ করেছে। আর সুদ যেহেতু মানবতা বিরোধী শোষণমূলক লেনদেন, তাই ইসলাম তাকে হারাম ঘোষণা করেছে।
ইসলাম সুদকে শুধু হারামের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং সুদের ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে যে ধমকি এসেছে অন্য কোনো পাপের বেলায় এমনটা করা হয়নি। এরশাদ করা হয়েছে, হে মোমিনরা! আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমরা যদি প্রকৃত মোমিন হয়ে থাক। তবে সুদের যে অংশই অবশিষ্ট রয়ে গেছে তা ছেড়ে দাও, আর যদি তোমরা সুদকে পরিত্যাগ না কর তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা শুনে নাও। (সূরা বাকারা : ২৭৮-২৭৯)।
রাসূল (সা.) বর্ণনা করেন, সুদের গোনাহের ৭০টি স্তর রয়েছে। এর সর্বনিম্নটি হলো স্বীয় মাতাকে বিবাহ করা। (মেশকাত : ২৭০২)।
সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এমন কঠিন হুশিয়ারি বাণী আসার পরেও যে এর থেকে নিবৃত হবে না তার মতো হতভাগা কে হতে পারে। এমন কেউ কী আছে যে তার মোকাবেলায় রণাঙ্গনে অবতীর্ণ হবে।
ঘ. আহলে এলমকে অবজ্ঞা করা
আহলে এলম বলা হয় যারা কোরআন ও হাদিসের বুৎপত্তি অর্জন করে এবং সে অনুযায়ী আমল করে। কোরআন-হাদিস যেমন সম্মানিত এর সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি ব্যক্তি এবং বস্তুও তেমন সম্মানিত। এক প্রস্থ কাপড় দিয়ে যখন কোনো জামা তৈরি করা হয় এর সম্মান এবং মূল্য যতটুকু হয়, পবিত্র কোরআনুল কারিমের সামান্য গিলাফটির মূল্য তার চেয়ে শতগুণ বেশি হয়। আর এটাই ঈমানের দাবি।
আল্লাহ তায়ালা আহলে এলম সম্পর্কে কোরআন পাকে বর্ণনা করেন, হে নবী আপনি বলুন! যারা প্রাজ্ঞ আর যারা অপ্রাজ্ঞ তারা কী সমান হতে পারে? (জুমার : ৯)।
হজরত মোয়াবিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের বিজ্ঞ আলেম বানিয়ে দেন। (বোখারি ও মুসলিম, মেশকাত : ১৮৯)। অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়, একজন এবাদত গুজার ব্যক্তির ওপর একজন আহলে এলমের মর্যাদা তেমন পূর্ণিমা রাতে সব নক্ষত্রের ওপর চাঁদের মর্যাদা যেমন, আর আহলে এলমরাই হলো আম্বিয়া কেরামদের উত্তরসূরি। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মেশকাত : ২০০)।
১৪০০ বছর আগে মহানবী (সা.) ইন্তেকাল করেন। কিন্তু তার অবর্তমানে কেয়ামত পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহর প্রতিনিধি হিসেবে আহলে এলমদের নির্বাচিত করা হয়। কেয়ামত পর্যন্ত তারা রাসূল (সা.) এর স্থলাভিষিক্ত হিসেবেই নির্বাচিত থাকবে।
কেউ যদি অন্তর থেকে আহলে এলমকে অবজ্ঞা এবং ঘৃণা করে তার ঈমান থাকবে না। কারণ আহলে এলমকে অবজ্ঞা করা প্রকারান্তরে রাসূল (সা.) কেই অবজ্ঞা করা হলো। আর রাসূল (সা.) কে অবজ্ঞা এবং কটাক্ষকারী কখনও মুসলিম থাকতে পারে না।
তাই সচেতন সব মুসলমানকে ভেবে দেখা উচিত, আহলে এলমের মর্যাদা নিজের ভেতর কতটুকু বিদ্যমান? আমি আহলে এলমকে কটাক্ষ করে রাসূল (সা.) এর স্থলাভিষিক্তদের অবজ্ঞা করে নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করতে পারব কি? সবচেয়ে বড় কথা, আল্লাহ এবং রাসূলের অবাধ্য হয়ে পরকালে কীভাবে মুক্তির আশা করতে পারি?
Posted byy: হাফিজ নাছির উদ্দিন
আরো ইসলামিক সব অজানা জিনিস জানতে ক্লিক করুন
এখানে
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, যে কেউ কোনো মুআহিদকে (যাকে মুসলমানরা নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাকে) হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের ঘ্রাণ ৪০ বছরের দূরত্ব হতেও পাওয়া যায়। (বোখারি/মেশকাত : ৩৩০৪)।
গোনাহ দুই প্রকার। ক. কবিরা। খ. সগিরা। আল্লাহ তায়ালা এবং রাসূল (সা.) যেসব গোনাহের ব্যাপারে কোনো শাস্তি আরোপ করেছেন এবং স্পষ্টভাবে তা থেকে বারণ করেছেন তাই হলো কবিরা গোনাহ। তবে কবিরার মধ্যেও রয়েছে বিভিন্ন স্তর। কোনো কোনো কবিরা গোনাহ আল্লাহ তায়ালার সত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত, আবার কোনোটা বান্দার সঙ্গে সম্পর্কিত। নিম্নে গুরুতর কয়েকটি কবিরা গোনাহ নিয়ে আলোচনা করা হলো :
ক. শিরক করা
কবিরা গোনাহের স্তরে এটি সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এবং স্পর্শকাতর। মহান আল্লাহ তায়ালার সত্তা, গুণাবলি ও কার্যাবলিতে অন্য কাউকে শরিক করা বা সমকক্ষ জ্ঞান করাই শিরক। যেমন- আল্লাহর কাছে মোনাজাত করার মতো জীবিত বা মৃত কারও নিকট প্রার্থনা করা। কবর বা মাজারে সেজদা করা, কোনো ব্যক্তিসমষ্টি বা সংগঠককে সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে বিশ্বাস করা, পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তায়ালাকে ছেড়ে এমন কাউকে ডাকবে না যে তোমার কোনো উপকারও করতে পারে না এবং ক্ষতিও করতে পারে না। তারপরও যদি তুমি এরূপ কর তাহলে তুমি জালেমদের মধ্যে গণ্য হবে। (সূরা ইউনুস : ১০৬)।
অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, যে আল্লাহর সঙ্গে অন্য কাউকে শরিক করে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতকে হারাম করে দিয়েছেন। (সূরা মায়িদা : ৩১২)।
শিরক ঈমানকে ধ্বংস করে দেয় এবং শিরককারী ব্যক্তি কাফের বলে গণ্য হয়। এমনকি শিরকই একমাত্র গোনাহ, যা ছাড়া আল্লাহ সব গোনাহকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, নিশ্চয় আল্লাহ কখনও তার সঙ্গে শরিক করার গোনাহ ক্ষমা করবেন না। এছাড়া আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দেবেন।
খ. শিরকের পর মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সবচেয়ে গর্হিত ও মন্দ কাজ হলো অন্যায়বিহীন মানুষের প্রাণনাশ করা। চাই তা ভ্রুণ হোক কিংবা অন্য কেউ। মানবহত্যা মানবতা বিধ্বংসী ও সুস্থ বিবেকবর্জিত অপরাধ। রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, কোনো মোমিনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার চেয়ে দুনিয়াটা ধ্বংস হয়ে যাওয়া আল্লাহর কাছে অধিকতর সহজ। (তিরমিজি)।
এমনকি একজন মানুষের প্রাণনাশ করা সব মানবজাতির প্রাণনাশের নামান্তর। আল্লাহ তায়ালা বলেন, কেউ যদি কাউকে হত্যা করে এবং তা অন্য কাউকে হত্যা করার কারণে কিংবা পৃথিবীতে অশান্তি বিস্তারের কারণে না হয়, তবে সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। (সূরা মায়িদা : ৩২)।
অন্যায়ভাবে হত্যাকারীর জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তির হুশিয়ারি। আল্লাহ তায়ালা বলেন, যে ব্যক্তি কোনো মুসলিমকে জেনেশুনে হত্যা করবে তার শাস্তি হলো জাহান্নাম। যাতে সে সর্বদা থাকবে এবং আল্লাহ তার প্রতি গজব নাজিল করবেন ও তাকে লানত করবেন। আর আল্লাহ তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন। (সূরা নিসা : ৯৩)।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, যে কেউ কোনো মুআহিদকে (যাকে মুসলমানরা নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাকে) হত্যা করবে, সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না। অথচ জান্নাতের ঘ্রাণ ৪০ বছরের দূরত্ব হতেও পাওয়া যায়। (বোখারি/মেশকাত : ৩৩০৪)।
এ হাদিস থেকে প্রতীয়মান হয় যে, নিরাপত্তা প্রদত্ত কাফেরের জানমালও মুসলমানের ন্যায় সংরক্ষিত। তাদের ওপর আঘাত হানাও জঘন্যতম অপরাধ।
উপরোক্ত বিধানগুলো হত্যাকারীর পাশাপাশি হত্যায় সহায়তা দানকারীর ক্ষেত্রেও সমান প্রযোজ্য। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি সামান্য কথার দ্বারাও কোনো মোমিনের হত্যার ব্যাপারে সহায়তা করল সে আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে এমন অবস্থায় সাক্ষাৎ করবে যে, তার কপালে লেখা থাকবে ‘আল্লাহর রহমত হতে নিরাশ।’ (ইবনে মাজাহ/মেশকাত : ৩৩৩১)।
গ. সুদ খাওয়া
সুদ বলা হয় বিনিময়বিহীন অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে। ইসলাম এবং ইসলামী শরীয়ত শোষণ, জুলুম, নির্যাতন ও মনষ্যত্বহীনতার পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত। সম্পদের ব্যবহার ও ভোগের ক্ষেত্রে ইসলাম দিয়েছে ব্যাপক অধিকার। কিন্তু যে ভোগের কারণে সমাজের অন্যজন নির্যাতিত হয় এবং শিকার হয় দুঃখ-কষ্টের সেই ভোগকে ইসলাম হারাম করে দিয়েছে। পবিত্র কোরআনুল কারিমের বর্ণনা, আল্লাহ বিক্রিকে হালাল করেছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন। (সূরা বাকারা : ২৭৫)।
ব্যবসা-বাণিজ্য যেহেতু মানবিক সাম্য ও অর্থনৈতিক ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যম, তাই ইসলামী শরীয়ত তা গ্রহণ করেছে। আর সুদ যেহেতু মানবতা বিরোধী শোষণমূলক লেনদেন, তাই ইসলাম তাকে হারাম ঘোষণা করেছে।
ইসলাম সুদকে শুধু হারামের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখেনি, বরং সুদের ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসে যে ধমকি এসেছে অন্য কোনো পাপের বেলায় এমনটা করা হয়নি। এরশাদ করা হয়েছে, হে মোমিনরা! আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমরা যদি প্রকৃত মোমিন হয়ে থাক। তবে সুদের যে অংশই অবশিষ্ট রয়ে গেছে তা ছেড়ে দাও, আর যদি তোমরা সুদকে পরিত্যাগ না কর তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে যুদ্ধের ঘোষণা শুনে নাও। (সূরা বাকারা : ২৭৮-২৭৯)।
রাসূল (সা.) বর্ণনা করেন, সুদের গোনাহের ৭০টি স্তর রয়েছে। এর সর্বনিম্নটি হলো স্বীয় মাতাকে বিবাহ করা। (মেশকাত : ২৭০২)।
সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে এমন কঠিন হুশিয়ারি বাণী আসার পরেও যে এর থেকে নিবৃত হবে না তার মতো হতভাগা কে হতে পারে। এমন কেউ কী আছে যে তার মোকাবেলায় রণাঙ্গনে অবতীর্ণ হবে।
ঘ. আহলে এলমকে অবজ্ঞা করা
আহলে এলম বলা হয় যারা কোরআন ও হাদিসের বুৎপত্তি অর্জন করে এবং সে অনুযায়ী আমল করে। কোরআন-হাদিস যেমন সম্মানিত এর সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিটি ব্যক্তি এবং বস্তুও তেমন সম্মানিত। এক প্রস্থ কাপড় দিয়ে যখন কোনো জামা তৈরি করা হয় এর সম্মান এবং মূল্য যতটুকু হয়, পবিত্র কোরআনুল কারিমের সামান্য গিলাফটির মূল্য তার চেয়ে শতগুণ বেশি হয়। আর এটাই ঈমানের দাবি।
আল্লাহ তায়ালা আহলে এলম সম্পর্কে কোরআন পাকে বর্ণনা করেন, হে নবী আপনি বলুন! যারা প্রাজ্ঞ আর যারা অপ্রাজ্ঞ তারা কী সমান হতে পারে? (জুমার : ৯)।
হজরত মোয়াবিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) এরশাদ করেন, আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে দ্বীনের বিজ্ঞ আলেম বানিয়ে দেন। (বোখারি ও মুসলিম, মেশকাত : ১৮৯)। অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়, একজন এবাদত গুজার ব্যক্তির ওপর একজন আহলে এলমের মর্যাদা তেমন পূর্ণিমা রাতে সব নক্ষত্রের ওপর চাঁদের মর্যাদা যেমন, আর আহলে এলমরাই হলো আম্বিয়া কেরামদের উত্তরসূরি। (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মেশকাত : ২০০)।
১৪০০ বছর আগে মহানবী (সা.) ইন্তেকাল করেন। কিন্তু তার অবর্তমানে কেয়ামত পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহর প্রতিনিধি হিসেবে আহলে এলমদের নির্বাচিত করা হয়। কেয়ামত পর্যন্ত তারা রাসূল (সা.) এর স্থলাভিষিক্ত হিসেবেই নির্বাচিত থাকবে।
কেউ যদি অন্তর থেকে আহলে এলমকে অবজ্ঞা এবং ঘৃণা করে তার ঈমান থাকবে না। কারণ আহলে এলমকে অবজ্ঞা করা প্রকারান্তরে রাসূল (সা.) কেই অবজ্ঞা করা হলো। আর রাসূল (সা.) কে অবজ্ঞা এবং কটাক্ষকারী কখনও মুসলিম থাকতে পারে না।
তাই সচেতন সব মুসলমানকে ভেবে দেখা উচিত, আহলে এলমের মর্যাদা নিজের ভেতর কতটুকু বিদ্যমান? আমি আহলে এলমকে কটাক্ষ করে রাসূল (সা.) এর স্থলাভিষিক্তদের অবজ্ঞা করে নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করতে পারব কি? সবচেয়ে বড় কথা, আল্লাহ এবং রাসূলের অবাধ্য হয়ে পরকালে কীভাবে মুক্তির আশা করতে পারি?
Posted byy: হাফিজ নাছির উদ্দিন
আরো ইসলামিক সব অজানা জিনিস জানতে ক্লিক করুন
এখানে
জেনে নিন বাংলা অর্থ সহ ১৫ টি জরুরী দোয়া, যেগুলো আপনার প্রতি দিন কাজে লাগতে পারে,মুসলমানের প্রয়োজনীয় ১৫ টি দোয়া।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা প্রতি মুহুর্তে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ মোতাকেব ফরজ ইবাদতের পর বিভিন্ন আল্লাহ তায়ালার রাজি খুশির জন্য বিভিন্ন নফল ইবাদাহ করে থাকেন। নফল ইবাদতের মধ্যে বিভিন্ন জিকির আজগার অন্যতম। নিচে জিকিরের জন্য কিছু দোয়ার অর্থসহ বর্ণনা তুলে ধরা হলো-
০১. আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম। [অর্থঃ বিতারিত শয়তানের হাত থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি
০২. বিস্মিল্লাহির রহমানির রাহিম। [অর্থঃ পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি।] .
০৩. রাব্বানা আ’তিনা ফিদ্দুনিয়া হাছানাতাঁও ওয়াফিল আখিরাতি হাছানাতাঁও ওয়াক্বিনা আজাবান্নার। [অর্থঃ হে আল্লাহ্ তুমি আমাকে ইহকালীন যাবতীয় সুখ-শান্তি ও পরকালীন যাবতীয় সুখ-শান্তি প্রদান কর। আর দোজখের আগুন থেকে আমাকে রক্ষা কর।] .
০৪. মাতা-পিতার জন্য সন্তানের দোয়াঃ রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বাঈয়ানী সাগিরা। (সূরা বণী ইসরাইল, আয়াতঃ ২৩-২৫) [অর্থঃ হে আল্লাহ্ আমার মাতা-পিতার প্রতি আপনি সেই ভাবে সদয় হউন, তাঁরা শৈশবে আমাকে যেমন স্নেহ-মমতা দিয়ে লালন-পালন করেছেন।] .
০৫. ঈমানের সাথে মৃত্যু বরণ করার দোয়াঃ রাব্বানা লা’তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইয হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রাহমাতান, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহাব। (সুরা আল ইমরান, আয়াতঃ ০৮) [অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, সরলপথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে বক্র করে দিওনা এবং তুমি আমাদের প্রতি করুনা কর, তুমিই মহান দাতা।] .
০৬. ভুল করে ফেললে ক্ষমা চাওয়ার দোয়াঃ রাব্বাবা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির্লানা ওয়াতার হামনা লানা কুনান্না মিনাল খা’সিরিন।[অর্থঃ হে আল্লাহ্, আমি আমার নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। এখন তুমি যদি ক্ষমা ও রহম না কর, তাহলে আমি ধ্বংস হয়ে যাব।] .
০৭. গুনাহ্ মাফের দোয়াঃ রাব্বানা ফাগফিরলানা যুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সাইয়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মায়াল আবরার। (সূরা আল ইমরান, আয়াতঃ ১৯৩) [অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দাও, আমাদের থেকে সকল মন্দ দূর করে দাও এবং আমাদের নেক লোকদের সাহচার্য দান কর।] .
০৮. স্বামী-স্ত্রী-সন্তানদের জন্যদোয়াঃ রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিইয়াতিনা কুররাতা আইইনিও ওয়াজ আলনা লিল মুত্তাক্বিনা ইমামা। (সূরা আল ফুরকান, আয়াতঃ ৭৪) [অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদিগকে আমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিগণ হতে নয়নের তৃপ্তি দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানাও।] .
০৯. ঈমান ঠিক রাখার আমলঃ ইয়া মুক্বাল্লিবাল কুলুবি ছাব্বিত ক্বালবি আলা দ্বীনিকা। [অর্থঃ হে মনের গতি পরিবর্তনকারী, আমার মনকে সত্য দ্বীনের উপর স্থিত কর।] .
১০. সন্তানদের প্রতি মাতা-পিতার দোয়া ও মাতা-পিতার জন্য সন্তানদের দোয়াঃ রাব্বিজ আলনী মুতিমাছ ছালাতি ওয়ামিন জুররি ইয়াতি, রাব্বানা ওয়াতাকাব্বাল দুয়া, রাব্বানাগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালি দাইয়া ওয়ালিল মু’মিনিনা ইয়াওয়া ইয়াকুমুল হিসাব। (সূরা ইব্রাহিম, আয়াতঃ ৪০-৪১) [অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে নামাজ কায়েমকারী বানাও আর আমার সন্তানদের মধ্য থেকেও। হে আল্লাহ্ আমার দোয়া কবুল করে নাও। হে আল্লাহ্ আমাকে ও আমার মাতা- পিতাকে আর সকল ঈমানদার লোকদের সেদিন ক্ষমা করে দিও, যেদিন হিসাব কার্যকর হবে।] .
১১. নেক সন্তানদের জন্য দোয়াঃ রাব্বি হাবলি মিনাস সালেহীন। [অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে নেককার সৎ-কর্মশীল সন্তান দান কর।] .
১২. অবাধ্য সন্তান বাধ্য করার দোয়াঃ ওয়াছলিহলি ফী যুররিইয়াতি, ইন্নি তুবতু ইলাইকা, ওয়া ইন্নি মিনাল মুসলিমীন। (সূরা আহকাফ, আয়াতঃ ১৫) [অর্থঃ আমার জন্য আমার সন্তানদের মধ্যে প্রীতি দান কর, অবশ্যই আমি তোমারই দিকে ফিরিতেছি এবং অবশ্যই আমি মুসলমানদের অন্তর্ভূক্ত।] .
১৩. সকল মুসলমানদের জন্য দোয়াঃ আল্লাহুম্মাগ ফিরলী ওয়ালিল মু’মিনিনা ওয়াল মু’মিনাতি, ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাতি। [অর্থঃ হে আল্লাহ্ তুমি আমার ও সমস্ত মু’মিন নর-নারীর এবং সমস্ত মুসলমান পুরুষ ও স্ত্রীলোকের পাপ সমূহ মোচন করে দাও।] .
১৪. কাফেরদের বিরুদ্ধে বিজয়ী হওয়ার দোয়াঃ রাব্বানাগ ফিরলানা যুনুবানা ওয়া ইসরাফানা ফী আমরিনা ওয়া ছাব্বিত আক্কদামানা ওয়ানছুরনা আলাল কাওমিল ক্বাফিরীন। (সূরা আল ইমরান, আয়াতঃ ১৪৭) [অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের গুনাহ এবং কোন কাজের সীমা লঙ্ঘনকে তুমি ক্ষমা কর, আমাদের ঈমান দৃঢ় রাখ এবং কাফেরদের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয়ী কর।] .
১৫. ক্ষমা ও রহমতের দোয়াঃ রাব্বিগ ফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন। [অর্থঃ হে আল্লাহ্, আমাকে ক্ষমা করে দাও, আর আমার প্রতি রহম কর, তুমিই তো উত্তম দয়ালু।]
Posted byy: হাফিজ নাছির উদ্দিন
আরো ইসলামিক সব অজানা জিনিস জানতে ক্লিক করুন
এখানে
৩১/৮/১৬
ইসলামী রাজনীতি কী?কেনো করবো ইসলামী রাজনীতি? বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন,কাজে লাগবে।
⏩ইসলামী রাজনীতি কেন করব?
আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে যারা বলে, ইসলামী রাজনীতি আবার কি এটা করে
কি হবে,, কোনো লাভ আছে? আমি বলি ভাই যারা নেতাকর্মী দের কাছ থেকে
টাকা নেয়ার জন্য রাজনীতি করে, তাদের কুনো লাভ নেই,,,,
তবে যারা আল্লাহর আইন মানতে চায় তাদের জন্য লাভ আছে,, তাহলে নিচে পরুন,,,,
♣অন্তত পক্ষে ৬টি কারণে ইসলামী রাজনীতি
করতে হবে -
১) ইসলামী রাজনীতি/আন্দোলন করা
ফরজে আইন। (সুরা- শুরা আয়াত ১৩।)
২) জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচা,
জান্নাত লাভ ও গোনাহ মাফের জন্য।( সুরা-আস্ সফ
১০-১৩।)
৩) এ কাজের জন্য রাসুল (স) কে পাঠানো
হয়েছিল, সুতরাং এটা নবীওয়ালা কাজ।(সুরা আস্ সফ-৯।)
৪) সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের
নিষেধের দায়িত্ব পালনের জন্য।(সুরা আল ইমরান
১০৪ ও ১১০।)
৫) ইসলামী আন্দোলনের কাজ সর্বোত্তম
কাজ।(সুরা হা মীম আস সিজদা-৩৩।)
৬) মুনাফিকের মৃত্যু থেকে বাঁচার জন্য।
(মুসলিম শরীফের হাদীস। সুত্র-কুরআন ও হাদিস
সঞ্চায়ন ১ম খন্ড পৃষ্ঠা -৯৯।)
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ইসলামী আন্দোলন
করার মধ্য দিয়ে অলি আউলিয়াদের এই দেশে সুন্নীয়তের পতাকা উড়ানোর
তাওফীক দিন এবং আল্লাহর ও রাসুল সা: এর সন্তুষ্টির অর্জন করে
জান্নাতে যাওয়ার তাওফিক দিন, আমীন।
Posted by: হাফিজ নাছির উদ্দিন।
ফেইসবোকে আমি
আমাদের দেশে কিছু মানুষ আছে যারা বলে, ইসলামী রাজনীতি আবার কি এটা করে
কি হবে,, কোনো লাভ আছে? আমি বলি ভাই যারা নেতাকর্মী দের কাছ থেকে
টাকা নেয়ার জন্য রাজনীতি করে, তাদের কুনো লাভ নেই,,,,
তবে যারা আল্লাহর আইন মানতে চায় তাদের জন্য লাভ আছে,, তাহলে নিচে পরুন,,,,
♣অন্তত পক্ষে ৬টি কারণে ইসলামী রাজনীতি
করতে হবে -
১) ইসলামী রাজনীতি/আন্দোলন করা
ফরজে আইন। (সুরা- শুরা আয়াত ১৩।)
২) জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচা,
জান্নাত লাভ ও গোনাহ মাফের জন্য।( সুরা-আস্ সফ
১০-১৩।)
৩) এ কাজের জন্য রাসুল (স) কে পাঠানো
হয়েছিল, সুতরাং এটা নবীওয়ালা কাজ।(সুরা আস্ সফ-৯।)
৪) সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের
নিষেধের দায়িত্ব পালনের জন্য।(সুরা আল ইমরান
১০৪ ও ১১০।)
৫) ইসলামী আন্দোলনের কাজ সর্বোত্তম
কাজ।(সুরা হা মীম আস সিজদা-৩৩।)
৬) মুনাফিকের মৃত্যু থেকে বাঁচার জন্য।
(মুসলিম শরীফের হাদীস। সুত্র-কুরআন ও হাদিস
সঞ্চায়ন ১ম খন্ড পৃষ্ঠা -৯৯।)
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে ইসলামী আন্দোলন
করার মধ্য দিয়ে অলি আউলিয়াদের এই দেশে সুন্নীয়তের পতাকা উড়ানোর
তাওফীক দিন এবং আল্লাহর ও রাসুল সা: এর সন্তুষ্টির অর্জন করে
জান্নাতে যাওয়ার তাওফিক দিন, আমীন।
Posted by: হাফিজ নাছির উদ্দিন।
ফেইসবোকে আমি
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যসমূহ (Atom)